শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল এখনো বন্ধ

Looks like you've blocked notifications!
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। ফাইল ছবি

এখনো বন্ধ রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশপথ শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটের ফেরি চলাচল। এর ফলে চরম দুর্ভোগে রয়েছে ঘাটে আটকেপড়া পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা।

এর আগে নাব্য সংকটের কারণে টানা আট দিন এই ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর গত মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন চৌধুরী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ নৌরুটের ড্রেজিং কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে মেজবাহউদ্দিন ঘোষণা দেন, আপাতত ২৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পালের চরের চ্যানেল দিয়ে ফেরি চলাচল করবে। আর এ ঘোষণার পর কেটাইপ ফেরি ক্যামিলিয়া শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে ছয় ঘণ্টা পর কাঁঠালবাড়ী গিয়ে পৌঁছায়। পরের দিন বুধবার বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামের একটি রোরো ফেরি সকাল ৭টায় কাঁঠালবাড়ী থেকে ছেড়ে প্রায় নয় ঘণ্টা পর শিমুলিয়া ঘাটে আসে। এরপর থেকেই এ ঘাটে আর কোনো ফেরি চলেনি।

তবে ওই দিন নৌসচিব স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, আগামী দুদিনের মধ্যে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের চ্যানেলটি দিয়ে ফেরি চলাচল করতে পারবে। কিন্তু সচিবের বেঁধে দেওয়া দুদিন পার হলেও এখন পর্যন্ত ওই চ্যানেলে ড্রেজিং শেষ হয়নি। ফলে এখনো এ নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহম্মেদের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

অপরদিকে, বিআইডব্লিউটিসির মেরিন অফিসার আহম্মদ আলীর কাছে ফেরি চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, রোরো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর বুধবার কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে ছেড়ে আসার পর আট ঘণ্টায় শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছায়। এরপর থেকে আর কোনো ফেরি চলেনি—এ কথা শেষে তিনি ব্যস্ততার কথা বলেই ফোন রেখে দেন।

সরেজমিনে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, রোরো, কেটাইপ, ঠেলা ও ছোট ফেরিগুলো ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে এবং ফেরির স্টাফরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। তবে কখন ও কবে নাগাদ এ নৌরুটে পুনরায় ফেরি চলাচল করবে এর উত্তর জানা নেই কারো।

ফেরি-চালকরা জানিয়েছেন, পালের চরের চ্যানেল দিয়ে ফেরি চালানো সম্ভব নয়। এদিকে ঘাটে আটকে পড়া পরিবহনচালক ও শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরেই ঘাট এলাকায় চরম দূভোর্গ ও ভোগান্তি পোহাচ্ছে। ফেরি বন্ধ থাকায় মোটরসাইকেলসহ যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই ট্রলারে করে এ নৌরুট পাড়ি দিতে হচ্ছে। তবে লঞ্চ ও সি-বোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।