শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে স্পিডবোট চালানোর সনদ পেলেন ১৩৬ জন
চলতি বছরের ৩ মে দুর্ঘটনার পর নিবন্ধন না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে স্পিডবোট চলাচল। এবার অনিবন্ধিত স্পিডবোটগুলো নিবন্ধন কার্যক্রম শেষে আবারও সচল হতে যাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে বিআইডব্লিউটিএ প্রাঙ্গণে প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা গ্রহণ শেষে ১৩৬ জন চালককে যোগ্যতা সনদ প্রদান করা হয়।
বিআইডাব্লিউটিএ প্রশিক্ষণ প্রদান এবং পরীক্ষা গ্রহণ শেষে উত্তীর্ণ চালকদের মধ্যে সনদ প্রদান করে। নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও শিপ সার্ভেয়ার মো. মঞ্জুরুল কবিরের তত্ত্বাবধানে বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া ঘাটের স্পিডবোট-চালকরা কর্মশালায় অংশ নিয়ে পরীক্ষা দেন। পরে উত্তীর্ণ চালকদের মধ্যে এ সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী ও জাহাজ জরিপকারক এবং অভ্যন্তরীণ নৌযান রেজিস্ট্রার মো. মাহবুবুর রশিদ, নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন কাজী মুহাম্মদ হাসান, মুখ্য পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বি এম আতাউর রহমান আতাহার, মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩ মে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে একটি স্পিডবোট ৩১ জন যাত্রী নিয়ে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। স্পিডবোটটি পুরোনো কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছাকাছি আসার পর সেখানে নোঙর করে রাখা বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটটি উল্টে গিয়ে ২৬ জনের প্রাণহানি হয়।
এ ঘটনার পর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনিবন্ধিত স্পিডবোট ও চালকদের লাইসেন্স ছাড়া এ নৌরুটে স্পিডবোট চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় বিআইডব্লিউটিএ।