শিলপাটার আঘাতে মাকে হত্যা, স্ত্রীসহ ছেলে গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
নওগাঁর আত্রাই থানা ভবন। ছবি : এনটিভি

নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে মা জাহিদাকে শিলপাটা দিয়ে আঘাত করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মায়ের লাশ গোপনে কবর দেওয়ার প্রস্তুতিকালে ছেলে ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোর রাতে উপজেলার দিঘা গ্রামের মৈত্রীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নিহত জাহিদার ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৪৩) ও জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা খাতুন (৩৫)। নিহত জাহিদা বেওয়া (৬৫) আত্রাই উপজেলার দিঘা গ্রামের মৃত হারান প্রামাণিকের স্ত্রী।

নওগাঁর আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, আজ ভোর রাতে পারিবারিক কলহের জেরে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এমতাবস্তায় মা জাহিদা বেওয়াকে শিলপাটা দিয়ে মাথায় আঘাত করেন জাহিদুল ইসলাম ও জাহিদুলের স্ত্রী রহিমা খাতুন। এতে তিনি ঘটনাস্থালেই মারা যান। এরপর কাউকে না জানিয়ে মা জাহিদা স্বাভাবিকভাবে মারা গেছেন বলে প্রচার করেন ছেলে জাহিদুল ইসলাম। এ সময় নিজ আত্মীদের ছাড়া স্থানীয়দের মরদেহ দেখতেও দেননি।

এদিকে, জাহিদুল ইসলাম তাঁর মাকে কবর দেওয়ার প্রস্তুতি নেন। এতে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয় জাহিদুলের চলাফেরা ও কথপোকথনে। এমতাবস্তায় প্রতিবেশীরা জোর করে জাহিদা বেওয়ার মরদেহ দেখে মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। ঘটনাটি জানতে পেরে প্রতিবেশীরা থানায় সংবাদ দেন।

ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহিদা বেওয়ার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ছেলে জাহিদুল ও তাঁর স্ত্রী রহিমা খাতুন শিলপাটা দিয়ে আঘাত করার শিকার করেন। তাদের আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ দুপুরের পর নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় আত্রাই থানায় হত্যা মামলার পর আটক ছেলেদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান ওসি।