শিশুর সঙ্গে ৮৫ বছরের বৃদ্ধের বিয়ে : তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

Looks like you've blocked notifications!
হাইকোর্টের ফাইল ছবি

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের চরআমখাওয়া ইউনিয়নের বয়রাপাড়ায় ৮৫ বছর বয়স্ক মহির উদ্দিনের সঙ্গে ১২ বছরের এক শিশুর বিয়ের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। জামালপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

এ বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন নজরে নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দীনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতের আদেশের বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

গত ২০ নভেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের চরআমখাওয়া ইউনিয়নের বয়রাপাড়া গ্রামে ৮৫ বছর বয়স বয়স্ক মহির উদ্দিনের সঙ্গে ১২ বছরের এক শিশুর বিয়ে দিয়েছেন গ্রাম্য মাতব্বররা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, গ্রাম্য সালিশে মহির উদ্দিনের নাতি শাহিনের (১৮) অপরাধের দায়ভার দাদার ওপর চাপানো হয়েছে। মহির উদ্দিনকে ১০ দোররা মেরে তাঁর সঙ্গে শিশুটির বিয়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানায়, ভুক্তভোগী শিশুটি স্থানীয় কওমি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। একই গ্রামের বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের নাতি শাহিনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে শাহিনের ধর্ষণে শিশুটি গর্ভধারণ করে। পরে গত ১০-১৫ দিন আগে তার গর্ভপাতও ঘটানো হয়। কিন্তু বিষয়টি ফাঁস হলে স্থানীয় মাতব্বররা সালিশ করে নাতি শাহিনের অপরাধের দায় ৮৫ বছর বয়সী মহির উদ্দিনের ওপর চাপিয়ে দেন।

মহিরের প্রতিবেশীরা জানান, বয়োজ্যেষ্ঠ মহির উদ্দিনের প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী মারা গেছেন। তৃতীয় বিয়ে করেছেন ২৭ বছর আগে। তিনি সাত সন্তানের জনক। মহির এখন ঠিকমতো কথাও বলতে পারেন না, দৃষ্টিও ঝাপসা। ১২ বছর বয়সী চতুর্থ স্ত্রীকে নিয়ে তিনি চরম বিপাকে পড়েছেন।