শিশু তুহিন হত্যার দায়ে বাবা-চাচার মৃত্যুদণ্ড

Looks like you've blocked notifications!

সুনামগঞ্জে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়া হত্যার দায়ে তার বাবা ও চাচাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে শিশুটির দুই চাচাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ওয়াহিদুজ্জামান সিকদার এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া দুজন হলেন শিশু তুহিনের বাবা দিরাই উপজেলার কেজাউড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল বাছিত (৩৫) ও চাচা নাছির উদ্দিন (৪০)। খালাস পেয়েছেন চাচা আবদুল মছব্বির (৪৫) ও জমসেদ আলী (৬০)।

এর আগে গত ৮ মার্চ শিশু তুহিন হত্যা মামলায়  অভিযুক্ত চাচাতো ভাই শিশু সাহারুল ইসলাম ওরফে শাহরিয়ারকে আট বছরের আটকাদেশ দেন আদালত। সুনামগঞ্জ শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন ওই রায় দেন। এই মামলায় আদালতে ২৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শামসুন্নাহার বেগম শাহানা জানান, তুহিনের বাবা আবদুল বাছিত ও চাচা নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সাক্ষ্য-প্রমাণে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের দুজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর গভীর রাতে দিরাইয়ের কেজাউরা গ্রামের বসতঘর থেকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গলা কেটে শিশু তুহিনকে হত্যা করে তার লিঙ্গ, দুই কান কেটে পেটে দুটি ছুরি বিদ্ধ করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পেটে বিদ্ধ ছিল নাম লেখা দুটি ছুরি। পরদিন তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তুহিনের মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে পরের দিন অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় মামলা করেন।

এই মামলায় পুলিশ তুহিনের বাবা আবদুল বাছিত, চাচা নাছির উদ্দিন, আবদুল মছব্বির ও জমসেদ আলী এবং ১৭ বছর বয়সী চাচাতো ভাই শাহরিয়ারকে গ্রেপ্তার করে।

আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর ৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। তুহিনের ১৭ বছর বয়সী চাচাতো ভাইয়ের বিচার সম্পন্ন হয়েছে শিশু আদালতে। অন্যদের বিচার হয় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। আদালতে সাক্ষ্য দেন ২৬ জন। গত বুধবার মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আদালত আজ দিন ধার্য করেন।