শিশু ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরের ৫ বছরের আটকাদেশ
রাজধানীর খিলগাঁও থানায় দায়ের করা ১১ বছরের এক শিশু ধর্ষণের মামলায় রায়হান আল আজাদ নামে এক কিশোরের পাঁচ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় জামিনে থাকা এ আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান থাকলেও আসামির বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় ২০১৩ সালের শিশু আইনে তার বিচার হয়। এ আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি দশ বছরের আটকাদেশ।
ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) আইনজীবী ফাহমিদা আক্তার রিঙ্কি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আটকাদেশের পাশাপাশি আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে।’
মামলার বিররণী জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর খিলগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন ভিকটিমের বাবা। মামলায় অভিযোগে বলা হয়, বাদীর বাড়ির চতুর্থ তলায় থাকতেন আসামির পরিবার। ঘটনার দিন ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি রাতে আসামি রায়হান আল আজাদ ভিকটিমকে ফোন করে বাসার ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
ওই দিনই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালের ৩০ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশ।