শিশু সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যা, রায় ৯ মার্চ
রাজধানীর ওয়ারীতে সাত বছরের শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আসামি হারুন আর রশিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৯ মার্চ দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
সায়মা সিলভারডেল স্কুলে নার্সারিতে পড়ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ নম্বর আদালতের বিচারক কাজী আবদুল হান্নান ওই রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল বারী এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। এর আগে গত ২ জানুয়ারি একই আদালত শিশু সায়মাকে ধর্ষণ ও হত্যার করার অভিযোগে আসামি হারুন আর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।’
গত বছরের ৫ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. আরজুন আসামি হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, আসামি হারুন আর রশিদকে গত বছরের ৭ জুলাই তাঁর বাড়ি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ডাবরডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরের দিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে।
এজাহার থেকে জানা যায়, গত বছরের ৫ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে শিশু সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নবনির্মিত একটি ভবনের নবম তলার খালি ফ্ল্যাটের ভেতর সায়মাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। তাঁরা শিশুটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পেয়েছেন।
ঘটনার পরের দিন সায়মার বাবা আবদুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।