শেখ হাসিনা হাইটেক পার্কের জন্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি অ্যান্ড হাইটেক পার্কের জন্য নির্ধারিত স্থানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এর আগে সভা করে এসব স্থাপনা উচ্ছেদে সাতদিনের সময় বেঁধে দিয়েছিল প্রশাসন।
জানা যায়, পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের পাশে জেলার শিবচরের কুতুবপুরের কেশবপুরে আইসিটি মন্ত্রণালয় শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি অ্যান্ড হাইটেক পার্ক নির্মাণে ৭০ দশমিক ৩৪ একর জায়গা নির্ধারণ করে। এরপর থেকেই বেশ কিছুদিন ধরে নির্ধারিত এই স্থানে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় দালালচক্র ওই এলাকায় অবৈধ ঘরবাড়ি, বাগান, খামার স্থাপন শুরু করে।
সম্প্রতি আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমি হুকুম দখলের প্রস্তাব করে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকায় অবৈধ স্থাপনা আরো বেড়ে যায়। দালালচক্র পদ্মা সেতুর বিভিন্ন প্রকল্পে ক্ষতিপূরণ পাওয়া ঘরবাড়ি এ প্রকল্পে স্থাপন করে অপতৎপরতা শুরু করে। এ পরিস্থিতিতে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর নির্দেশে ১৮ জানুয়ারি ওই এলাকায় সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে সভার আয়োজন করে সাতদিনের সময় বেঁধে দেয় জেলা প্রশাসন।
এরপর আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেনের নেতৃত্বে একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট ও বিপুল পুলিশবাহিনীর সদস্য প্রকল্প এলাকায় অভিযান শুরু করে।
এ পর্যন্ত শতাধিক ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। আরো শতাধিক ঘরবাড়ি নিজেরাই সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে বসতকারীরা।
ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এ প্রকল্পটি এখানে হওয়ার খবরে দালালচক্র সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাটের জন্য শত শত স্থাপনা তৈরি করে। এ স্থাপনাগুলো দিয়ে দালালচক্র পদ্মা সেতুর বিভিন্ন প্রকল্প থেকে টাকাও উত্তোলন করে। আমরা এ স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে সাতদিন সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। ১০ দিনের মাথায় এসে চিফ হুইপ স্যার ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অবৈধ স্থাপনাগুলো অপসারণ শুরু করেছি। অনেকে নিজে থেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে।’