শেষ মুহূর্তেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীর স্রোত
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল নেমেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই ফেরিতে যাত্রীদের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে করোনা মহামারির লকডাউনে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে ফেরিতে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে অপেক্ষা করে ফেরিতে উঠছে যাত্রীরা। পরে তিন থেকে চারগুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে হচ্ছে তাদের।
তবে, উপেক্ষিত ছিল স্বাস্থ্যবিধি। একে অপরের গা ঘেঁষে যাতায়াত করায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। এ ছাড়া ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও ভোর থেকে তা চলাচল করতে দেখা গেছে। এতে ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন জানান, লকডাউনে ফেরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও যাত্রীদের চাপে এই নৌরুটে চলাচল করছে ১৫টি ফেরি। এই ফেরিগুলোতে যানবাহনের চেয়ে যাত্রীদের চাপ কয়েকগুণ বেশি। অধিকাংশ যাত্রীদের প্রখর রোদে ফেরিতে দাঁড়িয়ে থেকে সাড়ে সাত কিলোমিটারের নৌরুটে পদ্মা নদীতে পাড়ি দিতে হচ্ছে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন জানান, যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ঘাট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নৌপথে যেন কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে, এ ব্যাপারে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। যাত্রীদের হয়রানি রোধে কাজ করছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক টিম।
প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার অতিরিক্ত যাত্রীদের গাদাগাদিতে এই নৌরুটে আলাদা দুটি ফেরিতে দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তিসহ অন্তত অর্ধশত মানুষ।