শেষ মুহূর্তে ফুটপাতে ভীড়, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা
ঈদের আর মাত্র তিন-চারদিন বাকি। তাই কেনাকাটায় শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছে রাজধানীবাসী। বড় বড় বিপণিবিতানের মতো জমে উঠেছে ফুটপাতের কেনাকাটাও। তবে বিক্রেতারা বলছেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার বিক্রি কম।
আজ রোববার রাজধানীর গুলিস্তান, নিউমার্কেট ও বসুন্ধরা শপিংমলে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতা। ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে ফুটপাতেও ক্রেতাদের ভীড়। মার্কেটে আসা মানুষের মধ্যে আগের থেকে এখন মাস্ক পরার প্রবণতা বেড়েছে। তবে সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। ফলে ঈদের কেনাকাটার ভীড়ে স্বাস্থ্যবিধি অনেকটাই ‘চিড়ে-চ্যাপ্টা’।
নিউমার্কেট এলাকার পাঞ্জাবি বিক্রেতা আবুল কালাম (৪৫) এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দোকান খোলার পর ক্রেতা বেড়েছে। গত কয়েকদিন মানুষ কম থাকলেও আজ থেকে মার্কেটে মানুষ বেড়েছে। জামাকাপড়, নারীদের প্রসাধনী, জুতার দোকানগুলোতে ভীড় বেড়েছে। তবে করোনার কারণে অন্য বছরের তুলনায় ঈদ উপলক্ষে বিক্রি কমেছে।’
ফুটপাতের পোশাকবিক্রেতা শামীম মিয়া (৩৫) এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মানুষের ভীড় বেড়েছে কিন্তু ক্রেতা কম। সবাই শুধু দাম করে চলে যায়। ৩০০ টাকার কাপড় ৫০ টাকা দাম করে। কেনা দামও বলতে চায় না। খুব কম লোকই কেনাকাটা করছে।’
নিউমার্কেটের চন্দ্রিমা উদ্যানের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিধি-নিষিধের কারণে শুরুতে বেচাকেনা ছিল না। তবে আজ ২৫ রমজানের পর থেকে কিছুটা বিক্রি বেড়েছে।’
নিউমার্কেট এলাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী রবিউল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ঈদ আমাদের বড় একটি উৎসব। ঈদে মানুষের আয়োজন থাকবেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সবকিছু করতে হবে।’
গুলিস্তানের মহানগর মার্কেটের ব্যবসায়ী রফিক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, দোকানের খরচ আর বিভিন্ন জায়গায় ‘উৎকোচ’ দিয়ে এবারের ঈদে লাভ হবে না। তিনি আরও বলেন, আমরা ফুটপাতে ব্যবসা করি। এখানে ব্যবসা করতে টাকা দিতে হয়।