শোক দিবসের অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!
আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ আজ সোমবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ভার্চ্যুয়ালি সব মহানগর, রেঞ্জ ও জেলার পুলিশ সুপারদের নির্দেশনা দেন। ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের সব ইউনিট প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। শুধু তাই নয়, এই করোনা মহামারির সময়ে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে কি না, সেদিকেও খেয়াল রাখারও নির্দেশনা দেন তিনি।

আজ সোমবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ভার্চ্যুয়ালি সব মহানগর, রেঞ্জ ও জেলার পুলিশ সুপারদের এ নির্দেশনা দেন আইজিপ

ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আগস্ট আমাদের শো‌কের মাস। এ মাসে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী অনেক কার্যক্রম চালানো হয়েছে। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছে। ১৭ আগস্ট জেএমবি দেশের ৬৩টি জেলায় সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছে। এ জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম, সর্বহারাদের অপতৎপরতা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোপাগান্ডাসহ অন্যান্য বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।’

আইজিপি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। মাদকের সঙ্গে কোনো পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে চাকরিচ্যুতিসহ তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দেওয়ার একটি কার্যকর এবং জনপ্রিয় পদ্ধতি ‘বিট পুলিশিং’। ইতোমধ্যে বিট পুলিশিং সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিট পুলিশিং চালু রাখতে হবে।

সভায় আইজিপি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পুলিশ সদস্যদের পাশাপা‌শি তাদের পরিবারের সদস্যদের টিকা গ্রহণ নি‌শ্চিত কর‌তে সং‌শ্লিষ্ট‌দের‌ নির্দেশনা দেন। পুলিশ সদস্যদের করোনা সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য নিয়মিত ব্রিফ করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, বর্তমান অতিমারিতে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক পুলিশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। মানুষের পাশে থেকে তাদের হৃদয় ও মন জয় করার এ সুযোগ কাজে লাগানোর কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি সবাইকে।

আইজিপি বলেন, আমরা এমন একটি পুলিশ রেখে যেতে চাই, যাতে অবসরে গেলে পুলিশকে নিয়ে গর্ব করতে পারি। দেশের জনগণ গর্বভরে পুলিশের সেবা গ্রহণ করতে পারে।