বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শ্রমিকনেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৭তম শাহাদতবার্ষিকী আজ। 

গাজীপুরের হায়দরাবাদ গ্রামে জন্ম নেওয়া জনপ্রিয় শ্রমিকনেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারকে ২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শ্রমিক সমাবেশ চলাকালে গুলি করে হত্যা করে একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এই হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর ছোট ভাই মতিউর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে এই হত্যা মামলার রায় হয়। এতে মোট ৩০ আসামির মধ্যে দুজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। মামলার প্রধান আসামি নূরুল ইসলাম সরকারসহ অপর ২২ জনকে ফাঁসির আদেশ এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

২০১৬ সালের ১৫ জুন আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল মামলার আদালতে দেওয়া রায়ে ছয়জনকে ফাঁসি, সাতজনকে যাবজ্জীবন এবং ১৫ জনকে খালাস দেওয়া হয়। এ হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের করা আলাদা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি) শুনানি এখনও বিচারাধীন।

আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৯০ সালে গাজীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ছাড়াও জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।