ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে : এলজিআরডি মন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই দেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস যখন পৃথিবীর মানুষের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে, তখন শেখ হাসিনা বাংলার মানুষকে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়ে, প্রেরণা আর সাহস দিয়ে আগলে রেখেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব পরিমণ্ডলে শুধু নিজেকেই আলোকিত করেননি, পুরো জাতিকে আলোকিত করেছেন। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়ে পুরো জাতি যখন দিশেহারা, স্বাধীনতা যখন বিপন্নপ্রায়, তখন বঙ্গবন্ধুর খুনি ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে দেশে ফিরেই বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে নিজেকে এই দেশের জন্য অর্পণ করেছেন।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ২০০০ সালের মধ্যেই দেশ উন্নত দেশে পরিণত হতো বলেও উল্লেখ করেন তাজুল ইসলাম।

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘সারাবিশ্বে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস যখন পৃথিবীর মানুষের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে, তখন শেখ হাসিনা বাংলার মানুষকে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়ে, প্রেরণা আর সাহস দিয়ে আগলে রেখেছেন। সব ক্ষেত্রে ঘোষণা করেছেন বিশেষ প্রণোদনা। সারা দেশে ত্রাণ বিতরণ করে দুঃখী মানুষের মুখে তুলে দিয়েছেন খাদ্য।’

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে ছিটমহল, সমুদ্রসীমাসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেসব উদ্যোগ তিনি বাস্তবায়ন করতে না পারলেও তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করেছেন এবং করে যাচ্ছেন।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানো, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়া নিয়ে যেমন ব্যঙ্গ করেছে স্বাধীনতাবিরোধীরা, তেমনিভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশকে ডিজিটাল, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং উন্নত-সমৃদ্ধ করা নিয়েও ব্যঙ্গ করেছে তারা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মহান আল্লাহতায়ালার কাছে প্রার্থনা করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বেই বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ দেশের জন্য তিনি যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সভাপতির বক্তব্যে উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীন সব পার্ক এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করার অঙ্গীকার করেন।