সংকট মোকাবিলায় দেশবাসীর সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা প্রধানদের প্রতি পরামর্শ দেন। ছবি : পিআইডি

অর্থনৈতিক মন্দা, জ্বালানি সংকটসহ বিরাজমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশবাসীর বিশেষ সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গুরুত্ব অনুযায়ী প্রকল্প গ্রহণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে আরও সাশ্রয়ী হওয়া, কৃষি উৎপাদন বাড়ানো, কেনাকাটা কমানো ও মোটরগাড়ির ব্যবহার কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা প্রধানদের প্রতি এ পরামর্শ দেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সচিব বলেন, সবাইকে একটু সহযোগিতা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশেষ অনুরোধ করেছেন। গমসহ খাদ্য রপ্তানির বিষয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। কিন্তু অবাক ব্যাপার হলো রাশিয়া পরদিন ইউক্রেনের বন্দরে হামলা করেছে। এতে খাদ্য পরিস্থিতি কোনদিকে যায় তা বলা মুশকিল। এতে আমাদের আরও সতর্ক থাকা জরুরি।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন। যেসব জমিতে এক ফসল হয় সেগুলোতে দুই ফসল, আবার যেগুলোতে দুই ফসল হয় সেগুলোতে তিন ফসল করার পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যার জমি আছে তা অনাবাদি না রেখে প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদ করার কথা বলেছেন তিনি। আপাতত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কোনো গাড়ি কেনার দরকার নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘খরচ কমাতে প্রধানমন্ত্রীর আজও পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন। এজন্য আমাদের প্রকল্পগুলোর ক্যাটাগরি করা হয়েছে- এ, বি, সি। এ- ক্যাটাগরির যেগুলো সেগুলো ইমিডিয়েটলি প্রয়োজন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ঠিক করবে তারা গুরুত্ব অনুযায়ী কোন প্রকল্পগুলোকে এ-ক্যাটাগরি, কোন প্রকল্পগুলোকে বি-ক্যাটাগরি ও কোন প্রকল্পগুলোতে সি-ক্যাটাগরিতে ফেলবে। এ-ক্যাটাগরির প্রকল্পের পুরো টাকা খরচ করা যাবে। বি-ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলোতে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত খরচ করা যাবে। সি-ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন স্থগিত থাকবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কেনাকাটাতে যথাসম্ভব যেগুলো ইমিডিয়েট না কিনলে হবে না সেই জাতীয় কেনাকাটা চলবে। যেগুলো আপাতত না কিনলেও চলবে সে সব কেনাকাটা আপাতত স্থগিত থাকবে। ট্রেজারি থেকে বিল হয় এমন কোন বিদেশ ভ্রমণ এখন মন্ত্রণালয়গুলো করতে পারবে না। সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।

সবাইকে একটু সহযোগিতা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশেষ অনুরোধ করেছেন। কারণ এটা আমরা জানি না, কালকে-পরশু চুক্তি হলো কালকেই আবার ইউক্রেনের ওদেসা বন্দরে বোমাবর্ষণ হয়েছে। চুক্তি হয়েছে ইউক্রেন থেকে খাবারটা বেরিয়ে আসবে। বন্দর ছাড়া আসবে কীভাবে? এটা তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে না। সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে খাবার ও সার নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। আমাদের জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের বার বার অনুরোধ করা হয়েছে। যেভাবে হোক আমরা যেন সাশ্রয়ী হই। অহেতুক এনার্জি ও টাকা-পয়সা খরচ না করি।