‘সংঘাতমুক্ত কাশ্মীর প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ’
দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা রক্ষায় সংঘাতমুক্ত কাশ্মীর প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আর্টিকেল ৩৭০ পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ভারতকে কাশ্মীরি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) আশরাফ আল দ্বীন।
রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আজ রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন-এর উদ্যোগে ‘কাশ্মীর সমস্যা এবং দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা’শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান আশরাফ আল দ্বীন। সভা সঞ্চালনা ও সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংস্থার সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন।
আলোচনা সভায় নিরাপত্তা বিশ্লেষক কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) আশরাফ আল দ্বীন ভারতকে কাশ্মীরিদের ন্যায্য অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘আর্টিকেল ৩৭০ পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ভারতকে কাশ্মীরি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। হিন্দুত্ববাদী পলিসির মাধ্যমে কাশ্মীর হতে পারে আগামীর ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে কাশ্মীরিদের।’
আশরাফ আল দ্বীন বলেন, ‘৩৭০ বাতিল করার মধ্য দিয়ে সকল ভারতীয় কাশ্মীরে জমি ক্রয় করতে পারবে। এই নীতির কারণে অদূর ভবিষ্যতে নিজ ভূমে পরবাস হতে পারে কাশ্মীরের জনতা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শুধু পাকিস্তান ও ভারতকে সংযত থাকার অনুরোধ করে, কিন্তু কাশ্মীরের প্রকৃত সমস্যা সমাধানের জন্য কেউ কাজ করে না। দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা রক্ষায় সংঘাতমুক্ত কাশ্মীর প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের উভয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অধিকাংশ মুসলিম এবং তারা নিয়মিত নির্যাতিত হচ্ছে। এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ সকল রাষ্ট্রের জনগণের সোচ্চার হওয়া উচিত।’
এক্ষেত্রে সার্ককে কার্যকরী করার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বারোপ করেন এবং কাশ্মীরের মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কাশ্মীরের অধিবাসীদের মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং সংঘাতমুক্ত কাশ্মীর প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘ এবং ভারতের ভূমিকার ওপর তিনি গুরুত্ব দেন।
সভায় আরও বক্তব্য দেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণ-অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ খান, দ্য ডেইলি গ্লোবাল ন্যাশন, বাংলাদেশ-এর ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট মো. শফিউল আলম শাহীন প্রমুখ।