সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় আরও এজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

Looks like you've blocked notifications!
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১, ঢাকা। এনটিভির ফাইল ছবি

ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদ সালাম হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তার ভাগ্নি দিলরুবা নুসরাত জাহান।

আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রফিকুল ইসলামের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এদিন তার জবানবন্দি শেষ হলেও জেরা শেষ হয়নি। আদালত তার জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন— নিহত সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও ভাড়াটে খুনি মারুফ রেজা।

নথি থেকে দেখা গেছে, ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। 

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেলে সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তাঁর স্বামী সালাম চৌধুরী। পরে এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক জড়িত দুজনের কথা বললেও মিন্টু ওরফে মন্টু নামের একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। 

এ অভিযোগ গঠনের পর ১৯৯১ সালের ২৩ মে বিচারিক আদালত অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে মারুফ রেজা হাইকোর্টে আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালের ২ জুলাই হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ স্থগিত করেন। পরের বছরের ২৭ আগস্ট অন্য এক আদেশে হাইকোর্ট ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ান। এরপর ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ।

পরে, গত বছরের ২৬ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ মামলার অধিকতর তদন্ত আদেশে এর আগে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে দেন। একইসঙ্গে ৬০ দিনের মধ্যে ওই মামলার অধিকতর তদন্ত শেষ করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত। 

পিবিআই আদালতের নির্দেশের পরে ২০১৯ সালের ১৭ আগস্ট এ মামলাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। গত ৯ মার্চ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত।