সবকিছু চালুর সিদ্ধান্ত আত্মহননের শামিল : ড্যাব
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের লকডাউন শিথিল করে সাধারণ ছুটির সময় বৃদ্ধি না করে সবকিছু চালুর সিদ্ধান্ত আত্মহননের শামিল বলে অভিহিত করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘ, দেশি ও বিদেশি কোভিড সংশ্লিষ্ট গবেষণাকর্মী এবং বিশ্লেষকরা বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কঠোর লকডাউন তথা প্রয়োজনে কারফিউ জারির পরামর্শ দিচ্ছেন; তখন সরকার সবকিছু চালু করার ঘোষণা দিয়েছে- যা আত্মহননের শামিল।
ড্যাব নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, সরকারের এই হঠকারী ও অবিমৃষ্যকারী সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। সীমিত সম্পদ ও ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে সমাগত ভয়াবহতা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
নেতারা বলেন, বিশ্ব মহামারি করোনার করাল থাবা বাংলাদেশকে আক্রমণ করার পর থেকেই পেশাজীবী সংগঠন হিসেবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (ড্যাব) সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রতিটি পদক্ষেপে সচেতন করার চেষ্টা করেছে। সংগঠনটি গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে কোভিড মোকাবিলায় সরকারকে সঠিক পথে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কোভিড মোকাবিলায় ধারাবাহিক ব্যর্থতা প্রদর্শন করেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গত ২৮ মে সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কার্যত সারা দেশে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। অথচ প্রতিদিন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রেকর্ডসংখ্যক রোগী শনাক্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে।
এর পরও লকডাউন শিথিলে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পরিপ্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ড্যাবের নেতারা দেশ ও মানুষ বাঁচাতে অনতিবিলম্বে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান। নতুবা উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।