সমস্যা মিটিয়ে বন্ধুত্ব গাঢ় করতে আগ্রহী বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র
দ্বিপক্ষীয় সব সমস্যা মিটিয়ে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বন্ধুত্ব আরও গাঢ় করার পথে হাঁটবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। আইনমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্প্রতি বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি হলো। সে সম্পর্ক রক্ষার জন্য আগামীতে দুই দেশের মধ্যে এখন যেসব সমস্যা আছে, তা মিটিয়ে নতুন করে বন্ধুত্ব গাঢ় করার পথে হাঁটবে দুই দেশ।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস’র সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
বৈঠকের বিষয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় এসেছেন। এটি ছিল তাঁর সঙ্গে প্রথম বৈঠক। বৈঠকে দুটি নির্ধারিত এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য তিনি তুলে ধরেছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমাদের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে জানতে চেয়েছেন। আমি তাকে বলেছি, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট কখনও বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি। এটা করা হয়েছে সাইবার সিকিউরিটি রক্ষার জন্য। আমাদের সংবিধানেও সংবাদমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। আমরা সংবিধানকে সমুন্নত রেখে কাজ করছি।
এছাড়াও ঢাকায় একজন সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা মামলার বিষয়ে তাকে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছি। আদালত এ মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে বিচার কার্য পরিচালনা করছে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আলোচনার এক পর্যায়ে আমি বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দিতে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা চেয়েছি। তাকে ফিরিয়ে আনতে আমরা আরও আলোচনা করবো। এ বিষয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে একটি চিঠি দেব।