ঘূর্ণিঝড় মোখা

সমুদ্রবন্দর ও উপকূলীয় এলাকায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

Looks like you've blocked notifications!
চট্টগ্রাম নগরীর রাণী রাসমনি ঘাট। ছবি : স্টার মেইল

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে দেশের তিন সমুদ্রবন্দর ও উপকূলীয় এলাকায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শুক্রবার (১২ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সংস্থাটির সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় এতথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্র বন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা এগোচ্ছে, তাতে রোববার দুপুর নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল ও মিয়ানমারের উত্তর-উপকূল দিয়ে এটি অতিক্রম করতে পারে। উপকূলে আঘাত হানার ৪-৬ ঘণ্টার মধ্যে মোখা শক্তি হারাবে।’

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে এক হাজার ৬০৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ১০ লাখ সাত হাজার ১০০ জনকে আশ্রয় দেওয়া যাবে। তা ছাড়া, উপকূলীয় জেলাগুলোতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে উদ্যোগ। এসব জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের এখন পর্যন্ত সর্বশেষ সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বর্তমানে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। আজ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৬টার মধ্যে কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ১৩ মে সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় মোখার প্রভাব শুরু হতে পারে।  

এতে আরও বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হওয়ার আকারে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।