সম্পর্কের অবনতি করতে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে : ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার
ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি করতে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত বিদায়ী ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক পরীক্ষিত। দুদেশের সম্পর্কের অবনতি করার জন্য কেউ কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালায়। কিন্তু বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এত হালকা নয়। গত কয়েক বছরে দুদেশের মধ্যে অনেক কাজ হয়েছে। ছিটমহল সমস্যা, সমুদ্র সীমানা বিরোধ সমাধান হয়েছে। দুদেশ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে বিদায়ী সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার। এ সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও ভারতীয় হাইকমিশনার।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার ও জনগণের সহায়তার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের অবদান স্মরণে বাংলাদেশ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করছে বলে রীভা গাঙ্গুলীকে জানান আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ণ উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ওপর লিখিত বইয়ের হিন্দিতে অনুবাদ করার জন্য অনুরোধ করেন। এ ছাড়া ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণের আনন্দের অংশীদার হতে ভারত ইচ্ছুক বলে রীভা গাঙ্গুলী জানান।
রীভা গাঙ্গুলীর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে পরবর্তী পদায়নের জন্য অভিনন্দন ও শুভকামনা জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। রীভা গাঙ্গুলীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্বকালীন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক ভিন্ন মাত্রা পাবে বলে আ ক ম মোজাম্মেল হক আশা করেন।