সম্রাটের জামিন কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে রুল
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের জামিন কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ২৩ অক্টোবর রুল শুনানির জন্য দিন রেখেছেন আদালত।
ওই মামলায় সম্রাটকে নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল দেন।
গত ২২ আগস্ট নিম্ন আদালত থেকে জামিন পান সম্রাট। এ জামিন বাতিল চেয়ে গতকাল হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। আজ এ আবেদনের ওপর শুনানি হয়। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।
অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মগোপনে চলে যান সম্রাট। ওই সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজধানী ঢাকায় যে অভিযান পরিচালনা করে, তা আওয়ামী লীগে ‘শুদ্ধি অভিযান’ হিসেবে পরিচিতি পায়। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে আটক করা হয় সম্রাটকে। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, মানি লন্ডারিং, অস্ত্র আইন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, মানি লন্ডারিং ও অস্ত্র আইনের মামলায় আগেই জামিন হয় তাঁর। সর্বশেষ গত সোমবার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিন হলে রাতেই মুক্তি পান তিনি। গ্রেপ্তার হওয়ার আগপর্যন্ত সম্রাট ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। যুবলীগের রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী নেতা হিসেবে তখন বিবেচনা করা হতো তাঁকে।
র্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হক ওরফে আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই অভিযানে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীমসহ মোট ১৩ জন গ্রেপ্তার হন।