সরকারকে ফাঁকি দেওয়া যায়, মৃত্যুকে নয় : ওবায়দুল কাদের

Looks like you've blocked notifications!
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়িয়ে দুর্যোগ-দুর্বিপাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন, ১৯৭৫ সাল পরবর্তী সময়ে কোনো সরকারপ্রধান বা রাজনৈতিক নেতা এমন নজির স্থাপন করতে পারেননি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লকডাউনে অনেকেই চোরাইপথে আসা যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন, সম্প্রতি পদ্মায় স্পিডবোট ডুবিতে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সরকারকে ফাঁকি দেওয়া যায়, কিন্তু মৃত্যুকে ফাঁকি দেওয়া যায় না। এ ধরনের ঝুঁকি নিলে উৎসবের আগেই মৃত্যুর ট্র্র্যাজেডি অনিবার্য হয়ে পড়ে। কাজেই এ ধরনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করা যাবে না।’

রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আজ বুধবার সকালে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ ও অসহায়- দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একটা দল সরকারের বিরুদ্ধে গলাবাজি করছে, তাদের কোনো কাজ নেই। করোনার এই দুঃসময়ে তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এমন একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেনি, কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তা করে দেখিয়েছে।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু একটা দল ঢাকায় বসে শুধু লিপ সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। তারা একেক সময় একেক আন্দোলনের ওপর ভর করে ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতায় লিপ্ত। তারা করোনার এই সংকটের সময়েও সহিংসতার উসকানি দিচ্ছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা ভাসমান, ঘর বাড়ি নেই তাদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নিতে হবে এবং বিতরণের সময় সবাইকে একটি করে মাস্ক দিতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘সবাইকে মনে রাখতে হবে, আগে জীবন পরে জীবিকা। উৎসব আনন্দের কী দাম আছে যদি জীবন থেকেই দূরে সরে যেতে হয়। ঈদ যাত্রা যেন অন্তিম যাত্রায় পরিণত না হয়। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক উৎসব আনন্দ করা যাবে।’

বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।