সরকারের ব্যর্থতার কারণেই মানুষ জেগে উঠেছে : নোমান
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ‘আজকে ক্ষমতাসীন সরকারের ব্যর্থতার কারণেই মানুষ জেগে উঠেছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। দেশে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। সে কারণেই মানুষ জেগে উঠেছে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নোমান এসব কথা বলেন। ‘প্রাণী খাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি : বিপর্যস্ত পোল্ট্রি ও ডেইরি খামার’ শিরোনারম এই সেমিনারের আয়োজন করে এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব), ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা।
নোমান বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ হবে। সেখানে সরকারের পরিবর্তন ঘটাবে সেটা আমরা বলতে পারি না, কিন্তু দেশের মানুষ সরকারের পরিবর্তন ঘটাবে। তাদের প্রত্যাশা বিএনপির প্রতি বেশি। ইনশাআল্লাহ সরকারের পতন হবে। তাদের পতন বেশি দূরে নয়।’
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘পণ্যের দাম বেশি।...কারণ গবেষণা নেই। বাজেট স্বল্পতা। তিনি বলেন, ‘আমরা ইলিশ সংরক্ষণ তথা মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ দিয়েছিলাম। আমাদেরকে আরও বেশি গবেষণা করতে হবে। উৎপাদন ও সরবরাহ সমন্বয় করতে হবে।’
নোমান বলেন, ‘সরকার যাবে আসবে, কিন্তু দেশের উন্নয়নের জন্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। রপ্তানিমুখী উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। তা না হলে সংকটের সমাধান হবে না।’
বিএপির এই নেতা বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে গবেষণা কেন্দ্রগুলোকে সংস্কার ও আধুনিক করা হয়েছে। ধান চাল উৎপাদনের লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎ প্রকল্প করেছেন। যে কারণে উত্তরবঙ্গের ৯০ শতাংশ এলাকায় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি ট্যাক্স মওকুফ করেছিলেন। কৃষির সেচের জন্য খাল খনন করেছিলেন। ফলে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছিল।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সময় খাদ্য উদ্বৃত্ত ছিল। সেগুলো জনসংখ্যার অনুপাতে বেশি ছিল।...ফিশারিজ ও পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল।’
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। আজকের খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেছে রাজনৈতিক উদ্দেশে। কারণ, তিনি বাইরে থাকলে আমাদের আন্দোলন আরও জোরদার হতো, কিন্তু আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করছি। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। আজ মানুষ জেগেছে। আন্দোলনমুখী জনতাকে ঘুমাতে দেওয়া যায় না। তাদেরকে আরও উজ্জীবিত করতে হবে। আমরা বিজয়ের মুখোমুখি। ইনশাআল্লাহ আমাদের জয় হবে।’
ঢাকা মহানগর উত্তর এ্যাব‘র সভাপতি কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আহসানুল হক। এ্যাব ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ সানোয়ার আলমের পরিচালনায় সেমিনারে অন্যান্যরা বক্তব্য দেন।