‘সরকার কৃষিকে যান্ত্রিকী ও বাণিজ্যিকীকরণে বিভিন্ন প্রকল্পে ভর্তুকি দিচ্ছে’
সরকার কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজিকীকরণের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে ভর্তুকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার।
আজ শুক্রবার দুপুরে দিনাজপুরের হাবিপ্রবির গবেষক দলের উদ্ভাবিত ‘মাল্টি ক্রোপস ড্রায়ার মেশিন’ পরিদর্শনকালে বিএআরসির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
বিএআরসির চেয়ারম্যান বলেন, কৃষিতে করোনাভাইরাসের মহামারিতে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। কৃষি ও কৃষকের কথা চিন্তা করে সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকারের এসডিজি অর্জনে কৃষক ও কৃষি অবদান রাখছে। আগামীতে গবেষণালব্ধ কৃষিযন্ত্র তৈরি ও উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে বৈপ্লবিক পরির্তন আসবে কৃষি জগতে।
এ সময় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ছিলেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুইয়া, বিআরআরআইএর মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, বিএআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলাম, কান্ট্রি রিপ্রেজেনটিভ অব ইরি বাংলাদেশের ড. হুমনাথ ভান্ডারি, এসিআইয়ের সিইও ড. এ এইচ আনসারী, হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান, প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরিচালক ড. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুইয়া বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভুট্টা, গম, ধান শুষ্ককরণ ড্রায়ার মেশিন বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হবে। গবেষকদের তথ্য মতে, এটি জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব।
উল্লেখ্য, হাবিপ্রবির ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সাজ্জাত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের গবেষকদল ভুট্টা, গম, ধান শুষ্ককরণের এই ড্রায়ার মেশিন আবিষ্কার করেন। মেশিনটি ১৩ মাইল গড়েয়া বাজারে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আজমাইন অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী এম আলিম আল রাজি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে বসিয়েছেন।
ধান, গম, ভুট্টা দ্রুত শুকানো এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ মেশিনটি আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশি গবেষকরা। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা ড্রাইয়িং মেশিনটি দিয়ে স্বল্প সময়ে, কম খরচে ফসল শুকানো সম্ভব। বর্ষা মৌসুমে বোরো ধান বা ভুট্টা নিয়ে কৃষকদের আর দুশ্চিন্তায় থাকতে হবে না। এটিই দেশের প্রথম কৃত্রিম পদ্ধতিতে শস্য শুকানোর মেশিন দাবি গবেষকদের।
‘ড্রায়ার মেশিন’ পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হাবিপ্রবির ভিআইপি কনফারেন্স রুমে গবেষক ও প্রকল্পের কর্মকতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় হাবিপ্রবির উপাচার্য ড. কামরুজ্জামান তাদের সহযোগিতা করেন।