সরকার ভয় পেয়ে গ্রেপ্তার শুরু করেছে : রিজভী

Looks like you've blocked notifications!
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি : এনটিভি

সরকার ভয় পেয়ে দেশজুড়ে আবারও গ্রেপ্তার শুরু করেছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কোনো কিছুই আমাদের ঠেকাতে পারবে না। আমাদের সব অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছেন, তাদের অধিকার আদায়ের জন্য। ইতোমধ্যে বিভাগীয় গণসমাবেশে তার প্রমাণ দেশবাসী দেখছেন।

আজ রোববার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, গুম আর ক্রসফায়ার শব্দ দুটি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আমলে কেউ শুনেছে বলে আমার জানা নেই। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে বোকা মনে করছেন। সেজন্য তিনি ঢালাও মিথ্যা কথা বলেন। আসলে তিনি জনগণের প্রধানমন্ত্রী নন। তিনি আওয়ামী লীগের, দুষ্কৃতকারীদের প্রধানমন্ত্রী। আজকে তরুণ যুবকরা সবচেয়ে বেশি ভয়ের মধ্যে সময় পার করছে। আর প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি নাকি যুবকদেরকে চাকরি দিয়েছেন! শেখ হাসিনা চান সারা দেশে একটা ভয়ের বার্তা দিতে। যে কারণে তরুণ যুবকদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকার নিজেদের লোকজন দিয়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ ঠেকাতে ধর্মঘট ডাকেন। আসলে পরিবহণ মালিক সমিতির লোকজন নয়, ওরা আওয়ামী সমিতির লোক। বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিভাগীয় সদরে গণসমাবেশে মানুষের ঢল দেখে প্রধানমন্ত্রী তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। তার কথাবার্তায় সৌজন্যবোধ দূরে থাক, ন্যূনতম রাজনৈতিক ভদ্রতা প্রকাশ করেননি। গত পরশুদিন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা ও তারেক রহমান সম্পর্কে যে ধরনের বক্তব্য রেখেছেন, তা সম্পূর্ণরুপে সুরুচি ও শিক্ষার আলোকবঞ্চিত প্রতিহিংসাপরায়ণ মানুষের পক্ষেই সাজে।

রিজভী বলেন, বাংলাদেশ এখন বেকারের কারখানা। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকারের সংখ্যা বাংলাদেশে। শিক্ষিত বেকাররা চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা করছে। যুবক-তরুণদের ধরে নিয়ে গিয়ে গুম ও হত্যার যে দৃষ্টান্ত শেখ হাসিনা রেখেছেন, তা বিশ্বের সকল স্বৈরাচারের রেকর্ডকে ভঙ্গ করেছে।

তিনি আরও বলেন, গণসমাবেশে মানুষের ঢল দেখে প্রধানমন্ত্রী পাগলের প্রলাপ বকছেন। সমাবেশগুলোতে এত বাধা দিয়েছেন, সমাবেশে যাওয়ার পথে আপনার লালিত যুবলীগ-ছাত্রলীগকে দিয়ে জনগণ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর যে সহিংসভাবে আক্রমণ চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন, আহতদের অনেকেই এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, এর কি জবাব দিবেন প্রধানমন্ত্রী? যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন বাস-মিনিবাস ধর্মঘট ডাকে না, কিন্তু বিএনপির গণসমাবেশের ৩০-৩২ ঘণ্টা আগে থেকেই ধর্মঘট ডাকা হয়। এটা কার নির্দেশে ডাকা হয়-সেটাও দেশবাসী জানে।

রিজভী বলেন, বরিশালের গণসমাবেশ শেষ হওয়ার পর থেকে গৌরনদী-আগৈলঝাড়ায় বিএনপির মালিকানাধীন ২৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসনের সহায়তায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। দুটি এনজিওকে বন্ধ রাখা হয়েছে, কারণ এই এনজিওগুলো যারা পরিচালনা করেন তারা বিএনপি সমর্থক। সেজন্য সেই এনজিওর মালিকদের চাপ দেওয়া হচ্ছে আওয়ামী লীগের লোকদের পরিচালক করার জন্য, না হলে এনজিও চালাতে পারবে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল আলম নীরব, মো. আবদুর রহিম, তারিকুল আলম তেনজিং, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু প্রমুখ।