কামরাঙ্গীচর থানার মামলা

সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২০ অক্টোবর

Looks like you've blocked notifications!
ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। ফাইল ছবি

এবার রাজধানীর কামরাঙ্গীচর থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আরেক মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন এই অভিযোগপত্রটি আমলে নেন।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম শামীম বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,  আজ ডিবি পুলিশের দেওয়া কামরাঙ্গীরচর থানার মামলায় অভিযোপগত্র আমলে গ্রহণ করে বিচারক অভিযোগ গঠনের তারিখ আগামী ২০ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেছেন। এর আগে গত ১৪ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রাসেল মোল্লা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

পিপি আরও বলেন, সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে এ  মামলায় উচ্চ আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। তিনি আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। আদালত সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগর থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায়ও সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। এর আগে গত ২৪ মার্চ হাজারীবাগ থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায়ও তার বিরুদ্ধে একই আদালত অভিযোগগঠন গ্রহণ করেন।

এজাহারে বলা আছে, যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়াকে জড়িয়ে স্যোসাল মিডিয়ায় লেখালেখি করায় গত বছর ৯ মার্চ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর। এরপর ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা হয়।

মামলা হওয়ার পর গত বছর ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের ‘পক্ষকাল’ অফিস থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল নিখোঁজ হন। তাই ১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তাঁর স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসি নয়ন। পরে ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।

ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত বছরের ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে ফটোসাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি।

পরদিন অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির দায়ের করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরবর্তীতে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

প্রায় সাড়ে আট মাস কারাভোগের পর গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান কাজল।