সন্ত্রাসীদের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুর রহিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিমের ওপর গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে গুলি চালায় তিন সন্ত্রাসী। এতে তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। গুলি করার পরপরই সন্ত্রাসীরা তাঁর মাথা ও পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।

এরপর চেয়ারম্যানকে দ্রুত শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

চেয়ারম্যানের সঙ্গী ইশরাত আলী জানান, চেয়ারম্যান আবদুর রহিম তাঁর কয়েকজন চৌকিদার-দফাদারকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে কথা বলছিলেন। এমন সময় বোরকা পরা তিনজন তাঁকে একটু বাইরে আসতে বলেন। চেয়ারম্যান তাঁদের ভেতরে আসার কথা বললেও তাঁরা আসেননি। এরপর চেয়ারম্যান তাঁর চেয়ার ছেড়ে কক্ষের বাইরে আসতেই শুরু হয় কথা কাটাকাটি। ওই তিনজনের একজন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে দরজার চৌকাঠে লেগে চেয়ারম্যান আবদুর রহিমের পায়ে এসে বিদ্ধ হয়। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই তিনজন তাঁর মাথা ও পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। এরপর চেয়ারম্যানের সহকর্মীদের ধাওয়ার মুখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে গুলির খোসা পড়ে রয়েছে বলে জানান ইশরাত আলী।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা জানান, ঘটনাস্থল কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।