সাতক্ষীরায় জেলি পুশ করা চিংড়ি ও রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আম ধ্বংস
সাতক্ষীরায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের পৃথক অভিযানে জেলি পুশ করা এক হাজার ৩১৬ কেজি চিংড়ি ও এক হাজার ৫০ কেজি রাসায়নিক দিয়ে পাকানো কাঁচা আম জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের অভিযোগে ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে কালিগঞ্জের উজিরপুর বাজারে চিংড়ির আড়তে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় জব্দ করা চিংড়ি আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (৯ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে কালিগঞ্জের নলতা ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে চালকবিহীন পিকআপ থেকে এক হাজার ৫০ কেজি কাঁচা আম জব্দ করা হয়েছে। আমগুলো রাসায়নিক দিয়ে পাকানো। সোমবার রাত ৮টার দিকে কালিগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসব আম নষ্ট করা হয়।
সাজা ও অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন—সন্টু কুমার পাল, মো. মাসুম বিল্লাহ, মো. ফিরোজ হোসেন, আবু উবায়দা, স্বপন মন্ডল, মধুসূদন সরকার, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. কবির গাজী, মো. মুহিন হোসেন, উপেল সরকার, মো. মিজানুর রহমান ও মো. সুরুজ গাজী।
সোমবার বিকেল ৪টার দিকে র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা কোম্পানি কমান্ডার মেজর গালিবের নেতৃত্বে উজিরপুর মৎস্য আড়তে পরিচালিত অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, ‘উজিরপুর বাজারে কয়েকটি চিংড়ির আড়তে জেলি পুশ করে চিংড়ির ওজন বাড়ানো হচ্ছে—এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পুশ করা ১৩১৬ কেজি চিংড়ি, পুশ করার কাজে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ও জেলি জব্দ করা হয়েছে। জেলি পুশ করার সময় হাতেনাতে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। পরে কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজহার আলী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া জব্দ করা চিংড়ি আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।’