সাতক্ষীরায় ভাঙন রোধে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ শুরু
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরায় কপোতাক্ষের ভাঙনে নেবুবুনিয়া, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলায় খোলপেটুয়ার ভাঙন স্থায়ীভাবে রোধ করা এখনই সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা। নভেম্বরের শেষ অথবা ডিসেম্বরের দিকে শুষ্ক মৌসুম আসতেই কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে জনগণের ভোগান্তি দূর করতে গাবুরার নেবুবুনিয়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে রিং বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। জোয়ারের চাপ ও বৃষ্টি না থাকায় এই রিং বাঁধ তৈরির কাজ অব্যাহত রয়েছে
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল আলম জানান, তিনি তাঁর ইউনিয়নের জনশক্তিকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন ও পাউবো কর্মকর্তাদের নিয়ে নেবুবুনিয়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণকে স্বাগত জানান। এ সময় তিনি বলেন, ‘আপনারা যথাসময়ে এর উপযুক্ত মূল্য পাবেন।’
অন্যদিকে জোয়ারের পানির অস্বাভাবিক চাপ থাকায় আশাশুনির প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নে খোলপেটুয়া নদীর ভাঙন রোধে এ মুহূর্তে কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না। শুকনো মৌসুমের জন্য সেখানেও অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন পাউবো কর্মকর্তারা।
এদিকে পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। শুকনো খাবার হিসেবে তাঁদের হাতে চাল-ডালসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী পৌঁছালেও তা রান্না করে খাওয়ার সুযোগ নেই। পানিতে আটকা পড়া নারী, শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তি আরো বেড়েছে।
জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।