সাতক্ষীরা যশোরেশ্বরী দেবী মন্দিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুরে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বাংলাদেশ ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা যৌথভাবে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে পুলিশ, র‌্যাবসহ অন্য বাহিনীর সদস্যরা।

বহুদূর বিস্তৃত নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে জনসাধারণের যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। যশোরেশ্বরী দেবী মন্দিরসহ রাস্তাঘাটের সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়েছে। মন্দির চত্বরে রাষ্ট্রীয় এই অতিথির জন্য নতুন অবকাঠামো গড়ে তুলে বিশ্রাম ও আপ্যায়ন কক্ষ সাজানো হয়েছে। এসব অবকাঠামোর গায়ে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সুন্দরবন এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দৃশ্যসহ সাতক্ষীরার ইতিহাস ঐতিহ্য ও উন্নয়নচিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

এছাড়া ঈশ্বরীপুর এলাকায় চারটি হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। সড়কের ধারে শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড। সেখানে উড়ছে দুই দেশের পতাকাও।

আগামীকাল শনিবার সকালে ঈশ্বরীপুরের এ. সোবহান হাইস্কুল ময়দানে অবতরণের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুসজ্জিত মোটর শোভাযাত্রায় ৯০০ মিটার দূরে মন্দির প্রাঙ্গণে পৌঁছাবেন। সেখানে তিনি শক্তিপীঠে পূজা দেবেন জানা গেছে।

মাত্র ১০ মিনিটের সফর শেষে তিনি বিশেষ হেলিকপ্টারে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে যাওয়ার কথা রয়েছে।

নরেন্দ্র মোদি শনিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে হেলিকপ্টার থেকে ঈশ্বরীপুরে অবতরণ করবেন এবং ১০টা ১০ মিনিটে তিনি টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।

তাঁকে স্বাগত জানাতে সাতক্ষীরা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল।

আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সভা করেন খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ড. খ. মহিদ উদ্দীন। এ সময় অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. নজরুল ইসলাম এবং সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে সব সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্য আনন্দের জোয়ার বয়ে চলেছে। তারা তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে।