সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু আর নেই
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আজ বুধবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) কুমিল্লা-৫ (ব্রাহ্মণপাড়া-বুড়িচং) আসনের এই সংসদ সদস্য শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
সাবেক আইনমন্ত্রীর জুনিয়র অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান খান এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আওয়ামী লীগের হয়ে পাঁচ মেয়াদে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেতৃবৃন্দ সাবেক আইনমন্ত্রীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তাঁর শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
গত ১৫ মার্চ আবদুল মতিন খসরু সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। পরদিন ১৬ মার্চ সকালে তাঁর রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাঁকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। গত ২৮ মার্চ রাত ১২টার দিকে তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।
এরপর ১ এপ্রিল আবদুল মতিন খসরুর করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। পরে ৩ এপ্রিল আইসিইউ থেকে তাঁকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ৬ এপ্রিল তাঁকে আবার আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে আর ফিরে আসতে পারেননি আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য।
আবদুল মতিন খসরু গত ১৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মো. আবদুল মালেক ও মা জাহানারা বেগম। তাঁরা চার ভাই ও এক বোন৷ আবদুল মতিন খসরু ব্যক্তিজীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
আবদুল মতিন খসরু ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে তিনি আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।