সাবেক এমপি আউয়াল ও তাঁর স্ত্রীর জামিন বাতিলে রুল

Looks like you've blocked notifications!
পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে এম এ আউয়াল ও তাঁর স্ত্রী লায়লা পারভীন। ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে এম এ আউয়াল ও তাঁর স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর এ কে এম এ আউয়াল ও তাঁর স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।

অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান বলেন, মোট তিনটি মামলার মধ্যে এ কে এম এ আউয়াল তিনটিতে এবং একটিতে তাঁর স্ত্রীকে আসামি করা হয়েছে। এ তিন মামলায় গত ৭ জানুয়ারি তাঁরা হাজির হয়ে জামিন আবেদনের পর ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে ৩ মার্চ তাঁরা পিরোজপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

ওই দিন শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরবর্তী সময়ে তাঁদের ডিভিশন দিতে আবেদন করেন আইনজীবীরা। আদালত সেটি মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে জেলা জজকে বদলি করা হয়। বিকেলে ফের জামিন আবেদনের পর ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ (যুগ্ম জেলা জজ) নাহিদ নাসরিন তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করে দুজনের জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের পক্ষে আবেদন করা হয়।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক পরিচালক মো. আলী আকবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বরিশালে তিনটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নাজিরপুর থানার সামনে ও উপজেলা সদরের ভূমি অফিসের পেছনে ১৩ শতাংশ সরকারি খাসজমি নিজের দখলে নেন আউয়াল। পরে সেখানে দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অফিস হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়। এতে চুক্তি করেন লায়লা পারভীন। এ সংক্রান্ত সব ধরনের অনুসন্ধান শেষ করে মামলা করে দুদক।

এ কে এম আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পর পর দুইবার পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি হয়েছিলেন।