সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান আর নেই
সাবেক বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান (৭৯) আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। অসুস্থ হয়ে গত রোববার থেকে তিনি রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে (সাবেক এ্যাপোলো হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার সদস্য শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার ঢাকা-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া আব্দুল মান্নানের ভাতিজা মো. শাহাবুদ্দিনও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি মরহুমের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মো. শাহাবুদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন আব্দুল মান্নান। আজ সকাল থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার খুবই অবনতি হয়। রাতে তিনি মারা যান।’ মরহুমের লাশ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার সদস্য শামসুদ্দিন দিদার রাতে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, আগামীকাল বুধবার আব্দুল মান্নানের চারটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সকাল ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দুপুর ১২টায় ধানমণ্ডির ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা হবে।
তারপর আব্দুল মান্নানের মরদেহ তাঁর নিজের নির্বাচনী এলাকা ও গ্রামের বাড়ি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জে নেওয়া হবে। বিকেল ৩টায় নবাবগঞ্জ ডালিমপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাঁর তৃতীয় দফা জানাজা হবে। আর চতুর্থ জানাজা হবে বিকেল ৪টায় দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ মাঠে।
শামসুদ্দিন দিদার আরো বলেন, চতুর্থ দফা জানাজা শেষে আব্দুল মান্নানকে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে দাফন করা হবে।
গত রোববারই আব্দুল মান্নানের অসুস্থতার খবর শুনে লন্ডন থেকে একমাত্র মেয়ে মেহরাজ মান্নান ও তাঁর স্বামী ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন আহমেদ অসীম ঢাকায় এসেছেন। ব্যারিস্টার অসীমের বরাত দিয়ে শামসুদ্দিন দিদার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আব্দুল মান্নান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এমডি ছিলেন। অবসরে যাওয়ার পর তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-২ আসন থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬ (ফেব্রুয়ারি),১৯৯৬ (জুন) ও ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরপর চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।