সাভারে তিন মাস পর হত্যারহস্য উদঘাটন

Looks like you've blocked notifications!

সাভারের আশুলিয়ায় তিন মাস পর কফিল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ। এ ঘটনায় কফিলের প্রতিবেশী এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই নারী এতোদিন পলাতক ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে তাঁকে আশুলিয়া থানা থেকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার রিপনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিতা বেগম নামের ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ওই নারী নওগাঁ সদর উপজেলার বাসিন্দা। নিহত কফিল উদ্দিন জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পাতুসি গ্রামের বাসিন্দা।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ জানান, গত ২২ মার্চ আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু রোডের ডা. সাফকাতের বাড়ির কেয়াটেকার কফিল উদ্দিনের রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শরীরের কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে ঘটনার পর থেকে প্রতিবেশী এক নারী পালিয়ে যায়। সেই ঘরে তল্লাশি করে শুধু একটি খাতার মলাট পাওয়া যায়। সেই মলাটে শিশুর নাম ও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরেই দীর্ঘ তিন মাস পর রিতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত রিতার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কৌশলে ঘরে নিয়ে রিতা বেগমকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে গলা চেপে ধরলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে কফিল উদ্দিন। আগে থেকেই শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন কফিল উদ্দিন। ঘটনা আড়াল করতে কফিল উদ্দিনের হাতে ইন হেলার দিয়ে পালিয়ে যায় রিতা বেগম।

তিন মাস আগে অপমৃত্যু মামলা হলেও রাতে নিহতের স্ত্রী হানুফা বেগম আশুলিয়া থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।