সাভারে শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, লাশ মিলল স্কুলব্যাগে
ঢাকার সাভার উপজেলায় অপহরণের পর মেহেদী হাসান নামের ছয় বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের কাকাব এলাকার একটি জঙ্গলে স্কুলব্যাগে শিশুটির লাশ পাওয়া যায়।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিশুটির পাশের রুমের ভাড়াটিয়া জসিম উদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী আনিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাভার থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত মেহেদী হাসান বরিশালের গোলাম কবির ও পারুল বেগমের সন্তান। তাঁরা বিরুলিয়ার কাকাব এলাকার আবদুল করিমের বাসার একটি কক্ষে ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। গত সোমবার সকালে মেহেদীকে বাসায় রেখে তাঁর মা ও বাবা কর্মস্থলে যান। সকাল ১০টার দিকে তাঁদের পাশের কক্ষের ভাড়াটিয়া জসিমকে স্কুলব্যাগ কাঁধে করে নিয়ে যেতে দেখেন প্রতিবেশীরা। এর পর থেকে মেহেদীকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এতে সন্দেহ হলে তাঁরা মেহেদীর বাবা ও মাকে জানান। খবর পেয়ে বাবা গোলাম কবির ও মা পারুল বেগম মেহেদীকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফোন করে মেহেদীকে অপহরণের কথা জানান জসিম। ছেলেকে ফেরত পেতে একটি বিকাশ নম্বরে ১৫ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। মেহেদীর পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সাভার থানাকে জানানো হয়। সোমবার রাত ১১টার দিকে পাশের খাগাইন এলাকা থেকে জসিমকে আটক করা হয়।
বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব দত্ত বলেন, ক্যামেরার ফুটেজে সোমবার সন্ধ্যায় জসিমকে কুমকুমারি বাজারে বিকাশের দোকান থেকে নম্বর সংগ্রহ করতে দেখা যায়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি মেহেদীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাকাব এলাকার জঙ্গল থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সোমবার সকালে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন জসিম। এরপর স্কুলব্যাগে ভরে জঙ্গলে ফেলে দেন।