সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার : পরিবেশমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। ছবি : সংগৃহীত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সামুদ্রিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে সরকার দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে এক হাজার ৭৩৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া হিসেবে ঘোষণা করেছে। বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২০ উপলক্ষে আজ রোববার ‘সেভ আওয়ার সি’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এ কথা বলেন।  

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রে মেরিন প্রটেক্টেড এলাকা ঘোষণার ফলে বিভিন্ন প্রজাতির বিপন্ন সামুদ্রিক ডলফিন, তিমি ও হাঙরের সংরক্ষণ ও বংশবৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছে। এ ছাড়া সেন্টমার্টিন দ্বীপসংলগ্ন এক হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া হিসেবে ঘোষণা করার কার্যক্রম চলমান আছে। বঙ্গোপসাগরে জলজ সার্বিক জীববৈচিত্র্য, বিশেষ করে ডলফিন সংরক্ষণের টেকসই ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় পরিবেশ সুরক্ষার জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সেন্টমার্টিন দ্বীপ, কক্সবাজার-টেকনাফ সমুদ্রসৈকত ও সুন্দরবনকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করেছে। এসব এলাকায় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমসহ পরিবেশ সংরক্ষণে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকার ঘোষিত ইসিএ যথাযথভাবে কার্যকরের মাধ্যমে এসব এলাকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া উপকূলের দূষণ প্রতিরোধে ৫২টি স্থানকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে দূষণ প্রতিরোধে কাজ করা হচ্ছে। সমুদ্রের বায়োডাইভার্সিটি এসেসমেন্টের জন্যও প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ভবিষ্যতে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যুগান্তকারী ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন করছে। পর্যটন বিষয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণপূর্বক আমাদের পর্যটন করতে হবে।’

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনলাইন এক্সিবিশন ও ওয়েবিনারে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারি, অ্যাকুয়াকালচার এবং মেরিন সায়েন্স বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. কাজী আহসান হাবিব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসলেম উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের  অধ্যাপক রাকিব আহমদ পিএইচডি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ রশিদুল হাসান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের মৎস্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. দীনেশচন্দ্র সাহা, ব্লু ইকোনমির গবেষক ড. দিলরুবা চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন। ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন সমুদ্র সংরক্ষণবিষয়ক আয়োজক সংগঠন সেভ আওয়ার সি-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক।

অনলাইন এক্সিবিশনে সাগরের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিকারী সংগঠন ‘সেভ আওয়ার সি’-এর উদ্যোগে দেশে-বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডুবুরিদের পানির নিচের সৌন্দর্যের স্থির ও ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।