সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ক্ষমতাসীনদের সাজানো নাটক : রিজভী

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র ও খাবার বিতরণকালে বক্তব্য দেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি : এনটিভি

দেশের সব সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ক্ষমতাসীনদের সাজানো নাটক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘এসব ষড়যন্ত্র এখন দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে প্রমাণিত।’

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন থানার পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের আয়োজনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দুস্থদের মাঝে বস্ত্র ও খাবার বিতরণকালে এ কথা বলেন রিজভী।

এ সময় রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সুস্পষ্ট, বাংলাদেশে যত সাম্প্রদায়িক হানাহানি হয়েছে, এটি অত্যন্ত পরিকল্পিত, এটা কৃত্রিম। এটায় সরকার জড়িত হয়ে তারা তাদের ষড়যন্ত্র চক্রান্তের নীলনকশার মাধ্যমে এই কাজগুলো করছে। কারণ, তাদের ব্যর্থতা এতো বেশি, তাদের এই ব্যর্থতা আড়াল করতে হবে। এসব আড়াল করার জন্যই তারা এই কাজগুলো করছে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা এখন আস্তে আস্তে গর্তের মধ্য থেকে বিষাক্ত সাপের মতো বেরিয়ে আসছে। হাজীগঞ্জে যাদের সংঘাত করতে দেখা গেছে, তারা সবাই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এখন এগুলোকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দৃষ্টি অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা কি ওই স্পটে ছিলেন? বিএনপির নেতাকর্মীদের কি কেউ দেখেছে? তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছেন কেন? যুবদল-ছাত্রদল নেতাদের গ্রেপ্তার করছেন কেন? আপনাদের সোনার ছেলেরা—তারা এই সংঘাতের সঙ্গে জড়িত, এটা গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে।’

রিজভী আরও বলেন, ‘আমরা একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। আমার-আপনার কোনো নিরাপত্তা নেই। কখন কীভাবে কে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে, এটা বলা কঠিন। যুগ যুগ ধরে সমাজের শান্তি বিরাজমান। বিশেষ করে সাম্প্রদায়িক জনগোষ্ঠীর মধ্যে। এই শান্তি কারা নষ্ট করছে? কারা বিঘ্ন ঘটাচ্ছে? এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। জিয়াউর রহমানের আমলে তো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা শুনিনি। বেগম খালেদা জিয়ার আমলে তো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা শুনিনি। শেখ হাসিনার আমলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা শুনতে হয়। তাহলে নিশ্চয়ই এখানে কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। তারা এই সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করে বলছেন, আমরা দমন করছি। তাহলে তারা কি কাওকে খুশি করার জন্য এই কাজটি করছেন?’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই সময়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। কই আপনি তো এই ব্যাপারে কোনো প্রতিবাদ করেননি। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল আজ প্লাবিত। নীলফামারী তলিয়ে যাচ্ছে। কুড়িগ্রাম, রংপুরসহ নিম্নাঞ্চল এখন প্লাবিত। এটা আপনার নতজানু নীতির কারণেই হচ্ছে। আজ বাংলাদেশের সরকার সাহস করে কিছু বলতে পারছে না বলেই বাংলাদেশের ওপর যার যা ইচ্ছা তাই করছে।’