সালিশে যুবককে মারধর করায় গাজীপুরের সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
গাজীপুরে মুরগি চুরির সালিশে যুবককে অন্যায়ভাবে মারধর করার অভিযোগে সেই ইউপি সদস্য রাশেদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে জয়দেবপুর থানা পুলিশ। সে সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য। মঙ্গলবার দিনগত রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহতাব উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সদর উপজেলার বিকেবাড়ির বাসিন্দা আবুল কাশেমের ছেলে জুয়েল রানাকে ভিডিও ধারণ করার ঘটনায় মারধর করে ইউপি সদস্য রাশেদুল হক। ওই মারধরের ঘটনা সোমবার বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ঘটনাটি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হলে মারধরের শিকার জুয়েল মঙ্গলবার ইউপি সদস্য রাশেদুল হককে অভিযুক্ত করে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ওইদিন রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। আজ (বুধবার) গ্রেপ্তার ইউপি সদস্যকে আদালতে পাঠানো হয়।
বিকেবাড়ি (সিটপাড়া) এলাকার স্থানীয়রা জানান, ছোটখাট বিভিন্ন বিষয়ে ইউপি সদস্য রাশেদুল হক যাকে খুশি তাকে মারধর করেন। বিচার সালিশের নাম করে নিরীহ লোকদের হয়রানি ও মারপিট করেন। শুক্রবার বিকেলে বিকেবাড়ি (সিটপাড়া) এলাকার একটি খোলা মাঠে সাইদুলকে ধরে নিয়ে আসে। তবে সাইদুলের সম্পূর্ণ পরিচয় জানা যায়নি। পরে ওই যুবককে মুরগি চুরির মিথ্যা অভিযোগে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। ওই মারধরের ভিডিও উপস্থিত এক যুবক ভিডিও ধারণ করায় ইউপি সদস্য রাশেদুল তাকেও লাঠি দিয়ে মারপিট করেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে বিকেবাড়ি (সিটপাড়া) এলাকার একটি খোলা মাঠে যুবক সাইদুলকে মুরগি চুরির অভিযোগে ধরে নিয়ে আসে। পরে ওই যুবককে মুরগি চুরির অভিযোগে এলোপাতাড়ি মারধর করেন ইউপি সদস্য রাশেদুল হক। ওই মারধরের দৃশ্য যুবক জুয়েল রানা ভিডিও ধারণ করায় ইউপি সদস্য রাশেদুল তাকেও লাঠি দিয়ে মারপিট করেন।