সালিশ করতে গিয়ে বিয়ে : ইউপি চেয়ারম্যানকে তালাক দিল সেই কিশোরী

Looks like you've blocked notifications!
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। ছবি : সংগৃহীত

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় গত শুক্রবার প্রেমের সালিশ করতে গিয়ে এক কিশোরীকে বিয়ে করেছিলেন কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। এ ঘটনায় প্রেমিক যুবক বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান বলে জানা গেছে। এবার চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি ফিরে গেছে সেই কিশোরী। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তালাক সম্পন্ন হয়।

জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে কনকদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেছিলেন। কিশোরীর বাবা নজরুল ইসলাম মেয়ের তালাকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাঁর মেয়ে এখন বাড়িতেই আছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কনকদিয়া ইউনিয়নের ওই কিশোরীর সঙ্গে একই এলাকার নারায়ণপাশা গ্রামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে তারা দুজন পালিয়ে যায়। বিষয়টি কিশোরীর বাবা কনকদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানান। চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে শুক্রবার কনকদিয়া ইউপি কার্যালয়ে ছেলে ও মেয়ের দুই পরিবারকে যেতে বলেন। সে অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে দুই পরিবারের সদস্যরা ইউপি কার্যালয়ে যান। সেখানে ওই কিশোরীকে দেখে পছন্দ হয়ে যায় চেয়ারম্যানের। তিনি ওই কিশোরীকে বিয়ে করার আগ্রহ দেখান। পরে ওইদিন দুপুর ১টার দিকে স্থানীয় কাজি মো. আবু সাদেককে বাড়িতে ডেকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার।

এদিকে, এই বিয়ের ঘটনাটি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর গতকাল শনিবার ওই একই কাজির মাধ্যমেই তালাক সম্পন্ন হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার জানান, ওই কিশোরী তাঁকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারেনি। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ওই কিশোরীকে তার বাবার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।