সাহেদের সহযোগী তারেক শিবলীর জবানবন্দি
করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই সনদ প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগের ঘটনায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের অন্যতম সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালতে তারেক শিবলী এই স্বীকারোক্তি দেন।
এর আগে আজ দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারেক শিবলীকে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক আলমগীর গাজী। পরে বিচারক সাহেদের সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে দোষ স্বীকার করার জন্য তিন ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। তিন ঘণ্টা শেষে তিনি দোষ স্বীকার করতে রাজী হলে বিচারক তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৮ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর নাখালপাড়া এলাকা থেকে শিবলি তারেককে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলাটি দায়ের করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মামলায় হাসপাতালের মালিক সাহেদসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযানে ভুয়া করোনা টেস্টের রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে সেখান থেকে আটজনকে আটক করে র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে, গত ৭ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখাই সিলগালা করেন সারওয়ার আলম। সন্ধ্যায় ওই হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।