‘সিনহাকে কেন গুলি চালানো হলো, সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে’
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদকে গুলি করার ঘটনাটি দুই মিনিটের মধ্যেই ঘটে এবং কেন গুলি চালানো হলো, সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার।
পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার হত্যা মামলার আসামি টেফনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী এবং উপপরিদর্শক নন্দদুলাল রক্ষিতকে নিয়ে আজ সকালে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্ট এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান কর্নেল তোফায়েল।
আজ সকাল ১১টার দিকে কক্সবাজারে র্যাব-১৫-এর কার্যালয় থেকে কড়া নিরাপত্তায় মামলার আসামিদের নিয়ে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টের উদ্দেশে রওনা হয় তদন্তকারী দল। এই চেকপোস্টেই গত ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা।
গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বিভিন্ন সময় প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন কক্সবাজারের আদালত।
গতকাল সাত আসামির রিমান্ড শেষ হয়। বাকি ছয় আসামি বর্তমানে র্যাবের রিমান্ডে রয়েছেন। এঁরা হলেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত এবং কক্সবাজারে কর্মরত এপিবিএন-১৪-এর সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আবদুল্লাহ।
গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, এএসআই লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল।