সিনহা হত্যা : চতুর্থ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে

Looks like you've blocked notifications!
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় সাক্ষীদের প্রিজনভ্যান থেকে নামানো হচ্ছে। ছবি : এনটিভি

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় চতুর্থ সাক্ষী মো. কামাল হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেছেন আদালত। আজ সোমবার সকালে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের আদালতে চতুর্থ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

এর আগে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতে প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। 

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, আজ দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিনে চতুর্থ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গতকাল রোববার মোহাম্মদ আলী নামের ৩ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। পর্যায়ক্রমে অন্য আসামিদের নিয়ে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে।

পিপি আরও বলেন, ‘এর আগে গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট টানা তিনদিন মামলার ১ নম্বর সাক্ষী ও বাদী শারমিন সাহরিয়া ফেরদৌস ও ২ নম্বর সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত।

নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় সে সময় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র‌্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা করে। এরপর মেজর সিনহা নিহতের ছয় দিন পর লিয়াকত আলী ও ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে ঘটনার সময় দায়িত্ব পালনকারি আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গত ২৪ জুন মামলার অন্য পলাতক আসামি টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

আসামিদে মধ্যে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া অন্য ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তদন্ত শেষে গত বছর ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা তৎকালীন র‌্যাব ১৫-এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র  দাখিল করেন।