সিরাজগঞ্জে গণধর্ষণ মামলায় ৬ আসামির যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে তরুণীকে গণধর্ষণ মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে নির্যাতিত তরুণীকে আদায় করে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়। সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ আদেশ দেন।
কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলো—সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী গ্রামের মো. রাসেল (২২), সোহেল (২৩), রাজ্জাক (৪১), নাজমুল (২১), নুরু ওরফে নুর ইসলাম (২৩) ও মোমিন (৩১)। তাদের মধ্যে সোহেল ও মোমিন পলাতক। সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শেখ আবদুল হামিদ লাবলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সদর উপজেলার ওই তরুণীর (১৮) সঙ্গে পাঁচিল গ্রামের রাসেলের প্রেম হয়। ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল রাতে ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যমুনা নদীর ভাটপিয়ারী চরে আসতে বলে রাসেল। তাঁকে বিশ্বাস করে ওই চরে যান তরুণী। সেখানে অন্য আসামিদের ফোন করে ডেকে এনে তাঁকে ধর্ষণ করে রাসেল। পরে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ওই তরুণী। সেখানকার একটি আখক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। ভোর ৪টার দিকে জ্ঞান ফিরলে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরার পথে অপর আসামি মোমিন তাঁকে একা পেয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ওই তরুণী ফোন করে বোন ও ভগ্নিপতিকে বিষয়টি জানান। পরে তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর ভাই বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে ছয় ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।