সিরাজগঞ্জে সালিশি বৈঠকে হামলা, গ্রেপ্তার ২

Looks like you've blocked notifications!
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে সালিশি বৈঠকে হামলাস্থল, ইনসেটে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিরা। ছবি : এনটিভি

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে সালিশি  বৈঠকে হামলায় নারীসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ৪টার দিকে উপজেলার বরইতলী হালদারপাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা হলে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারহানা ইয়াসমিন আজ শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি এস সময় হামলার শিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

একই দিন কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেফাজ উদ্দিন মাস্টার এবং সাধারণ সম্পাদক ও কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী বরইতলী গ্রামে যান এবং আহতদের পরিবারের খোঁজ খবর নেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সাইদুল ইসলাম (৫০) ও সাকিবুল হাসান শুভ (১৬)।

মামলা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দিনগত রাত ২টার দিকে আবু সালেক নামে এক ব্যক্তি লক্ষণ হালদারের ঘরে সামনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় হালদারপাড়ার লোকজন সালেককে ধরে রশি দিয়ে বেঁধে পিটুনি দেয়।

খবর পেয়ে ওই দিন রাতেই আবু সালেকের অভিভাবকরা এসে তাঁকে নিয়ে যান।

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হন সালেকের পরিবারসহ স্থানীয়রা। স্থানীয় শফিকুল ইসলাম, আনছার, বাবলু ও মিলনসহ মাতব্বররা আবু সালেককে বেঁধে পেটানোর জন্য বিচার দাবি করেন।

বিষয়টি মীমাংসার জন্য গতকাল বিকেল ৪টার দিকে সালিশি  বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে হালদাপাড়ার লোকজন উপস্থিত হওয়ামাত্রই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৭০ থেকে ৮০ জন হামলা চালায়।

এ সময় মারধরে অন্তত ১২ জন আহত হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাসুদেব, অদ্বৈত হালদার ও বাবলু রাজবংশীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এই ঘটনায় কাজিপুর থানায় আজ শনিবার ৩২ জনের নামসহ অজ্ঞাত পরিচয় ১০-১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন তপন চন্দ্র হালদার।

কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দত্ত জানান, আবু সালেক নামে এক ব্যক্তিকে ধরে বেঁধে রেখে পিটুনির ঘটনায় গতকাল বিকেলে এলাকায় সালিশ ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, সালিশ শুরুর আগেই সেখানে হামলার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।