সিলেটের উপজেলা বিএনপিতে ফের জুতাপেটার ঘটনা

Looks like you've blocked notifications!
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লিলু মিয়াকে (বাঁয়ে) প্রকাশ্যে জুতাপেটা করছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী। ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপিতে ফের জুতাপেটার ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লিলু মিয়াকে জুতাপেটা করেছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা বিএনপির নেতা সুহেল আহমদ চৌধুরী। এর আগে ২০১৯ সালে একই উপজেলার সভাপতি জালাল উদ্দিনকে জুতাপেটা করেন তিনি।

গত শুক্রবার রাতে শহরের পুরান বাজারের কলেজ রোডে থানা মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে লিলু মিয়া ও সুহেল চৌধুরী সমর্থক নেতাকর্মীদের মধ্যে যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ভয়ে দিন কাটছে সাধারণ মানুষের।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া জুতাপেটার ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, সুহেল আহমদ চৌধুরী বলছেন, ‘তারে উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি আমি বানাইছি। আমি নেতা বানাইছি। কিগু (কারা) তোরে চিনত? তুই আমার লগে বিরোধিতা করস। তুই মনে করস, জানাইয়ার (স্থানীয় গ্রাম) পুয়াইনতে তরে বাঁচাইলিবা।’

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সুহেল ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজনকে লিলু মিয়াকে জুতা দিয়ে পেটানোর ভিডিও ধারণের নির্দেশ দিচ্ছেন। এরপর তিনি জুতাপেটা শুরু করেন।

কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর রাতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনকে জুতাপেটা করেন সুহেল আহমদ চৌধুরী। সেদিন বিশ্বনাথ থানার বিপরীতে একটি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ডেকে নিয়ে জালালকে জুতাপেটা করা হয়।

গতকালের ঘটনা সম্পর্কে জানতে বারবার চেষ্টা করা হলেও লিলু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। তিনি মুঠোফোনের কল রিসিভ করেননি।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার সহযোদ্ধা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া গতকাল রাত ৯টার দিকে বিশ্বনাথ থানা মসজিদের সামনে সুহেল চৌধুরীর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। তিনি (সুহেল) আমাদের দলের কেউ নয়। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ওই রাতে জনৈক হেলপারের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান লিলু মিয়া। বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হলে বাসমালিক সমিতির সভাপতি হিসেবে আমি তাঁকে নিবৃত করার চেষ্টা করি। এতে তিনি অপমানিত বোধ করে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে হামলা-লুটপাটের অভিযোগ তুলছেন। যা আদৌ সত্য নয়।’

জানতে চাইলে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এটি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’