সিলেটে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বন্যাকবলিত এলাকা, দুশ্চিন্তায় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা

Looks like you've blocked notifications!
সিলেটে বন্যার দুর্ভোগ। ছবি : সংগৃহীত

সিলেটে অবিরাম বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বন্যাকবলিত এলাকা। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে খাবারের সংকট। তলিয়ে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ধলাই নদীর পার্শ্ববর্তী বাঁধগুলো ভেঙে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এ উপজেলা ছাড়াও জেলার আরও ৯টি উপজেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। এরমধ্যে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদরের সঙ্গে জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এরমধ্যে যেসব এলাকায় পানি বেশি সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

নগরীর ৭টি ওয়ার্ডে আবারও বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। দুসপ্তাহ আগে বন্যায় এসব এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কিছুটা গুছিয়ে বাড়িঘরে ফিরলেও আবারও অন্যত্র সরে যেতে হচ্ছে। অনেকে বাসাবাড়িতে মাচা বানিয়ে থাকছেন। যদিও নগরীতে খোলা হয়েছে ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সিলেট নগরের ৮ থেকে ১০টি এলাকা ছাড়াও জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও সদর উপজেলার অন্তত ৫০০ গ্রাম এরই মধ্যে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে।

একমাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে ফের বন্যাকবলিত হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বানভাসিরা। নগর ও পাঁচটি উপজেলায় অন্তত চার থেকে সাড়ে চার লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন বলে জানা গেছে।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, ‘পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পানি ক্রমশ বাড়ছে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত সিলেটে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বন্যা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

আবহাওয়া সিলেট অফিস সূত্র আরও জানায়, আগামী ১০ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিলেটে ভারী বর্ষণ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে আগামীকাল থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ভারী বর্ষণ হতে পারে।