সিলেট আওয়ামী লীগের চার নেতাকে ঢাকায় তলব

Looks like you've blocked notifications!
আওয়ামী লীগের লগো

সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ঢাকায় তলব করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের চার নেতাকে নিয়ে বৈঠক করবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।

আজ বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। তবে কী কারণে তাঁদের কেন্দ্রীয় দপ্তরে ডাকা হয়েছে তা নিশ্চিত করেননি তিনি।

আজ রাতে বিমানে ওঠার আগে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এবারের তলবের কোনো এজেন্ডা বলা হয়নি।’

অপরদিকে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনো এজেন্ডার কথা বলা হয়নি।’

জেলা নেতাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে কেন্দ্রে ডেকে পাঠানো কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। এটা নিয়মিতই হয়। তবে সিলেটের চার নেতাকে এমন একটি সময়ে ঢাকায় ডেকে পাঠানো হয়েছে যখন এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণকাণ্ডে ছাত্রলীগের জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।

দলের একাধিক সূত্র জানায়, চার নেতার সঙ্গে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এর পাশাপাশি এ ধরনের আলোচনায় স্থানীয় বিভিন্ন বিষয়ও প্রাধান্য পায়। এ ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক আলোচিত বিষয় হিসেবে এমসি কলেজের ঘটনায় করণীয় সম্পর্কে দিক-নির্দেশনাও দিতে পারেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় গত বছর ৫ ডিসেম্বর। ওই কাউন্সিলে সমঝোতার মাধ্যমে জেলায় অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এ ছাড়া মহানগরে মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদকে সভাপতি ও অধ্যাপক জাকির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

দীর্ঘদিন পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রে জমা পড়ে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি। কমিটি জমা দেওয়ার পর পরই সিলেট আওয়ামী লীগের পদবঞ্চিত একটি অংশ ক্ষুব্ধ হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের পদবঞ্চিত ও অবমূল্যায়িত ত্যাগী নেতারা বিষয়টি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে জানিয়ে তাঁর পরামর্শে বিকল্প আরেকটি কমিটি কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেয়।

সিলেট আওয়ামী লীগের নেতারা যখন দুটি পূর্ণাঙ্গ কমিটির অপেক্ষায় ছিলেন, ঠিক তখনি ছাত্রলীগের কতিপয় কর্মী ১২৮ বছরের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ ক্যাম্পাসের ছাত্রাবাসে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে সিলেটসহ দেশজুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়। এ ঘটনায় স্বাভাভিকভাবেই বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন সিলেট আওয়ামী লীগের নেতারা।