সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ : হতাহতের পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন অক্সিকো লিমিটেডের বয়লার প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে হতাহতদের বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিল থেকে সহায়তা প্রদান করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
আজ রোববার (৫ মার্চ) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিহত শ্রমিকদের দাফন খরচ হিসেবে ২৫ হাজার টাকা, প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২ লাখ টাকা এবং আহত শ্রমিকদের চিকিৎসায় প্রত্যেকের জন্য ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মিনা মাসুদ উজ্জামান চট্টগ্রামে নিহতদের পরিবারের হাতে অর্থ সহায়তার চেক তুলে দেন।
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মিনা মাসুদ উজ্জামান এবং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্ঘটনার পর থেকেই কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অফিস কাজ করছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং হতাহতদের তথ্য অনুসন্ধানে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পাশাপাশি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অফিস চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার কদমরসুল এলাকায় সীমা রি-রোলিং মিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
নিহতরা হলেন—সীতাকুণ্ডের জাহানাবাদ ভাটিয়ারী ইউনিয়নের কদমরসুল গ্রামের শামছুল আলম (৫৬), একই উপজেলার বিএমএ গেট এলাকার বানু বাজারের ফরিদ (৩৬), নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার ছোট মনগড়া গ্রামের রতন লখরেট (৪৫), নোয়াখালীর মাইজদী উপজেলার আলিপুর গ্রামের মো. আবদুল কাদের (৫৮), লক্ষ্মীপুরের কমল নগর উপজেলার চরলরেঞ্জ গ্রামের মো. সালাউদ্দিন (৩৩)। তবে, নিহত আরেকজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।