সীমান্ত হত্যা বন্ধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে : বিজিবি ডিজি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ জানিয়েছেন, সীমান্তে হত্যা কমিয়ে কীভাবে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা যায়, তার উপায় নিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
ঢাকার পিলখানার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন শেষে আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলে বিজিবি মহাপরিচালক।
৫২তম এ সীমান্ত সম্মেলনের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়েও আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে বিজিবি মহাপরিচালক জানান, বিভিন্ন সময় বেশকিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে ভারত থেকে। দালালচক্রের তৎপরতা কীভাবে প্রতিহত করা যায়, তা নিয়ে সীমান্ত সম্মেলনে বিস্তারিত কথা হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন ভারত সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা না ঘটে, সেজন্য বিএসএফকে সীমান্তে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আমরা বলেছি।
সম্মেলনে যৌথ ঘোষণার বিষয়ে মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান প্রদানের বিষয় নিয়ে এ সম্মেলনে আলোচনা করেছি। এ ছাড়াও আমরা যোগাযোগ ও যথাযোগ্য সময়ে তথ্যের আদান-প্রদান নিশ্চিত করতে, আন্তঃসম্পর্কের উন্নতি এবং ফরমাল ও ইনফরমাল সম্পর্ক জোরদারে উদ্যোগী হতে আলোচনা করেছি।
সীমান্ত হত্যা নিয়ে বিএসএফ ডিজির বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিজিবি ডিজি বলেন, সীমান্তে একটা হত্যা মানে শুধু একটা মানুষের মৃত্যু নয়, এতে নিহতের পুরো পরিবার ভোগে। এলাকার মানুষের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আমাদের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে যে পেশাদার সম্পর্ক, সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এসব আমরা বিএসএফকে বুঝিয়েছি। তারাও বুঝেছেন। আমরা সব সমস্যা একীভূত করে ধীরে ধীরে সেগুলো শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চাই। আমাদের যে স্পিরিট সেটা কাজে লাগাতে পারলে তা সম্ভব বলে আমরা আশাবাদী।
গত ১৭ জুলাই থেকে ঢাকার পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়। আজ যৌথ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের পাঁচদিনব্যাপী ৫২তম সীমান্ত সম্মেলন শেষ হয়।
বিএসএফ মহাপরিচালক পঙ্কজ কুমার সিংয়ের নেতৃত্বে ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেয়।
অপরদিকে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সার্ভেয়ার জেনারেল অব বাংলাদেশ এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিসহ ২০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।