সুজা খন্দকারের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

Looks like you've blocked notifications!
প্রয়াত দুই অভিনয়শিল্পী সালমান শাহ ও সুজা খন্দকার। ছবি : সংগৃহীত

নাটক, সিনেমা কিংবা বিজ্ঞাপন—তাঁর উপস্থিতি মানেই আনন্দ, কৌতুকের ছড়াছড়ি। অভিনয়ে যেমন থাকত রসবোধ, ব্যক্তিজীবনেও রসিক ছিলেন তিনি। শক্তিশালী অভিনেতা হিসেবেই কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। ১৯৯৭ সালের আজকের এই দিনে (২ মার্চ) রাজধানী ঢাকায় ৫৬ বছর বয়সে মারা যান খ্যাতিমান অভিনেতা সুজা খন্দকার। আজ তাঁর ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী।

সুজা খন্দকার ১৯৪১ সালের ২৮ জানুয়ারি পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। অভিনেতা হিসেবে স্বীকৃত ও জনপ্রিয় হলেও তিনি বাংলাদেশ বিমানের কর্মকর্তা ছিলেন।

বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ (১৯৭২)-এ অভিনয়ের মাধ্যমে সিনেমা জগতে আসেন সুজা খন্দকার।

সুজা খন্দকার অভিনীত অসংখ্য ছবির মধ্যে রয়েছে—‘পায়ে চলার পথ’, ‘দেনা-পাওনা’, ‘সাধু শয়তান’, ‘সুজন সখি’, ‘সারেং বউ’, ‘তাসের ঘর’, ‘সখি তুমি কার’, ‘সুখের সংসার’, ‘এখনই সময়’, ‘পেনশন’, ‘তিন কন্যা’, ‘সাহেব’, ‘লালু সর্দার’, ‘বিক্ষোভ’, ‘তোমাকে চাই’, ‘দেনমোহর’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘প্রিয় তুমি’ ইত্যাদি।

চলচ্চিত্র ছাড়াও তিনি মঞ্চ, বেতার ও টেলিভিশনের নিয়মিত নাট্যশিল্পী ছিলেন। টিভি বিজ্ঞাপনেও তাঁর চাহিদা ও জনপ্রিয়তা সমানতালে এগিয়েছিল। তাঁর আলোচিত ও জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনচিত্রগুলোর একটি হলো, কারেন্ট জালে জাটকা ইলিশ ধরার ওপর করা। ‘সাদেক আলী’রূপী সুজা খন্দকারের মুখে ছড়ায় ছড়ায় সংলাপ বলা ‘ঝাঁকে ঝাঁকে জাটকা/কারেন্ট জালে আটকা’ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।